নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর মহাখালীতে আইএইচটি ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ প্যারামেডিকেল খেলার মাঠ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করছে একটি কুচক্রী মহল। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকাবাসী৷
দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী আইএইচটি প্যারামেডিকেল মাঠ অএ এলাকার প্রায় ৬৬ হাজার বাসিন্দার একমাত্র খেলার মাঠ। যা এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উক্ত মাঠে সকাল বিকাল দুই সেশনে ছোট-বড় সকলেই ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন সহ সব ধরনের খেলাধুলা ও বয়স্ক লোকেরা হাটা এবং শরীরচর্চা করে থাকে৷ এছাড়া এই খেলার মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অনেক খেলোয়াড় নিয়মিত অনুশীলন করে৷ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনুসরণ করে এলাকার একটি নির্দিষ্ট যুবসমাজ, কিশোর উক্ত মাঠে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ক্রিকেট অনুশীলন করে৷
জানা গেছে, এই মাঠে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে৷ ৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ বিলুপ্ত করে বহুতল ভবন নির্মাণ সার্থক করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের মতামত, খেলার মাঠ বেদখল হলে মহাখালী এলাকার কিশোর, তরুণরা খেলাধুলা থেকে দূরে সরে গিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে৷ এমনকি মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে৷ এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি প্রস্তাবিত স্থানে খেলার মাঠ ব্যতীত অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ভবন নির্মাণ করা সম্ভব৷ কাদের ইঙ্গিতে কিসের স্বার্থে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ করছে আমরা বোধগম্য নয়৷
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেসার্স আজাদ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন এর পক্ষ থেকে অদ্যকার সকাল বেলায় বেশ কিছু বহিরাগত লোক এসে মাঠের চতুর্পাশে সুতা ও লাল কাপড় দিয়ে একটি লেয়ার নির্মাণ করে৷ এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অত্র এলাকার যুব সমাজ, ছাত্রসমাজ, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই অশুভ কাজের নিন্দা জানিয়েছেন৷
এ প্রসঙ্গে ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশন ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছির এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উক্ত মাঠে আমি নিজে শৈশবে অনেক খেলাধূলা করেছি, এলাকার বয়স্ক মানুষেরা মাঠে প্রতিদিন শরীরচর্চা ও কিশোর যুবকেরা নিয়মিত খেলাধুলা করে আসছে। মাঠের জায়গা যাতে বেহাত না হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি৷
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখ মাঠ রক্ষার জন্য মানবিক আবেদন করে মহাখালী দক্ষিণপাড়া এলাকার চার থেকে পাঁচ শত মানুষের গণস্বাক্ষর সহ দশপৃষ্ঠার একটি স্মারকলিপি মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়৷ এছাড়াও উক্ত মাঠের বিষয় মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে৷